Published on

ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার (পঞ্চম পর্ব)

১৬. বিয়ে করে ফেললে কী মুক্তি পাবো?

আসক্তি কাটানোর জন্য খুব কমন একটা সাজেশন থাকে বিয়ে করে ফেলা। এইটা ২৫-২৬ বছরের নীচে কাউকে জোর দিয়ে বলবেননা। বলবেন তবে জোর দিয়ে না। যদি করে ফেলতে পারে (করে ফেলা উচিত) তাহলে খুবই ভালো । কিন্তু জোর দিয়ে বলবেন না। এর কারণ হলো- ২৫-২৬ বা এর চেয়ে কম বয়সী কারো পক্ষে বিয়ে করা আমাদের সমাজে কঠিন। এখন যদি ঐ ছেলেগুলাকে বিয়ে করতে বলেন তাহলে ওরা আসক্তি কাটানোর অন্য উপায় গুলো নিয়ে ভাববেনা। সারাদিন শুধু অহেতুক বিয়ে বিয়ে করে সময় নষ্ট করবে। ভাববে যে এখন পর্ন দেখি বা মাস্টারবেট করি, বিয়ের পরে তো সবই ঠিক হয়ে যাবে, মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আসক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের জন্য চেষ্টাও চলবে। আমাদের ভুল বুঝবেন না, আমরা বিয়ে করতে নিষেধ করছিনা। আমরা বলছি বিয়ের চেষ্টা এবং আসক্তি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা পাশাপাশি চলবে ইন্সা আল্লাহ্‌ । এই লিখাটিও পড়তে পারেন-

কেন বিয়ে মাস্টারবেশনের সম্পূর্ণ সমাধান না-

https://cms.lostmodesty.com/2018/08/কেন-বিয়ে-মাস্টারবেশনের-স/

১৭. আমার ভাই ক্লাস সেভেন এইটে পড়ে। তাকে কি মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইটা পড়তে দিতে পারি?

জ্বী পারেন। কোনো সমস্যা নেই ইনশা আল্লাহ্‌। তবে সাবধানতার জন্য বলে দিয়েন যে কিছু জানার থাকলে যেন আপনাকেই জিজ্ঞাসা করে।

১৮. আমাদের ছেলে/ভাই পর্ন দেখে কীনা কীভাবে বুঝব?

আমাদের সন্তান পর্ন দেখে!!! (দ্বিতীয় কিস্তি): https://tinyurl.com/yyvbtafg

মৃত্যু? দুই সেকেন্ড দূরে! (প্রথম পর্ব): https://bit.ly/2OcDLF9

১৯. আমাদের ছেলে/ভাই পর্ন দেখলে কী করব?

আমাদের সন্তান পর্ন দেখে!!! (প্রথম কিস্তি): https://bit.ly/2CMF4sV

আমাদের সন্তান পর্ন দেখে!!! (দ্বিতীয় কিস্তি): https://tinyurl.com/yyvbtafg

আমাদের সন্তান পর্ন দেখে!!! (শেষ কিস্তি): https://bit.ly/2NzPdxm

হৃদয়ের ঋণ (প্রথম কিস্তি)- https://bit.ly/2MmESA9

হৃদয়ের ঋণ (শেষ কিস্তি)- https://bit.ly/2NHUza4

অবস্থা গুরুতর হলে একজন মনোবিদ/মেন্টরের কাছে নিয়ে যান। এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

২০. ছেলেমেয়ে/ছোটোভাই,বোনদের সেক্স এডুকেশন কীভাবে দেওয়া যায়?

যৌনশিক্ষাঃ যে কথা বলা যায়না- https://tinyurl.com/y65agkbd

যৌনশিক্ষা: বাচ্চাদের কীভাবে বলা যেতে পারে- http://tinyurl.com/y4jav6vc

২১. আমার স্বামী পর্ন আসক্ত। কী করব ?

ও যখন পর্ন আসক্ত” (শেষ পর্ব): https://bit.ly/2p1M5fS

২২. আমি মাস্টারবেট করিনা, কিন্তু পর্ন দেখি-

ভাইয়া এটা ক্ষতিকর। পর্নও দেখা যাবেনা । মাস্টারবেটও করা যাবেনা। কোনোটাই করা যাবেনা।

২৩. প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হয়।

শুধু প্রস্রাবের সময় মাঝে মাঝে বীর্য যায়, বীর্যের কালার বা গন্ধ চেইঞ্জ না হয় তাহলে ইনশা আল্লাহ্‌ কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যাবে। আপনি বেশি বেশি পানি খান, ইসুব গুলের ভূশি খান। পর্ন, মাস্টারবেশন,অশ্লীল চিন্তা একেবারে ছাড়ুন। আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করুন। এক দেড়মাস ওয়েট করুন। ঠিক না হলে ডাক্তারের কাছে যাইয়েন। আর যদি গন্ধ বা কালার চেইঞ্জ হয়ে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসক দেখান।

অনেক সময় কষা পায়খানার ক্ষেত্রে কোথ দিলে এই তরল যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা দুর করুন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, দিন দুইবার করে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খাবেন,, পরিমিত ঘুমাবেন। এরপরও এই তরল অতিমাত্রায় প্রতিদিন বের হলে সমস্যা বলে বিবেচিত হবে। এর জন্য যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

২৪. আমি বিবাহিত। আমার দাম্পত্য জীবনে কিছু সমস্যা হচ্ছে

পর্ন, মাস্টারবেশন ছেড়ে দিন একেবারে। ব্যায়াম করুন। ডাক্তার দেখান। দয়াকরে যৌনশক্তি বর্ধক হারবাল টাইপের কোনো ওষুধ খাবেন না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান।

https://www.facebook.com/shamsul.shakti এই ভাইয়ের একটা নোট আছে। এইটা অবশ্যই অবশ্যই পড়তে হবে। উনাকে নক দিন।

(বিবাহিত ছাড়া কাউকে এই নোট পড়ার কথা বলবেন না। দিবেননা। আপনি যদি নিজে বিবাহিত না হয়ে থাকেন তাহলে এই নোট পড়বেন না। যদি এর অন্যথা করেন তাহলে তার ব্যাপারে আমরা দায়মুক্তি ঘোষণা করছি)

সেক্সের সময় কতো এই টাইপের কিছু প্রশ্ন পাবেন অবিবাহিত পোলাপানের কাছ থেকে। এদেরকে কখনোই এসব প্রশ্নের উত্তর দিবেন না। বলবেন যে বিয়ের পরে বা বিয়ের আগ দিয়ে দিয়ে যেন জেনে নেয়।এরা সারাদিন এসব নিয়ে ভাবে। সেক্স ফ্যান্টাসিতে ভোগে। তারপর বাধ্য হয়ে মাস্টারবেট করে।

২৫. মাস্টারবেশন বা পর্ন দেখার ফলে চেহারার উজ্জ্বল্যতা/লাবণ্যতা আগের তুলনায় আগের চাইতে কমে গিয়েছে।

পর্ন মাস্টারবেশন থেকে দূরে থাকবেন। পানি শাকসবজি খান বেশি বেশি। রাত জাগবেন না। একদম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবেন। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন। একদম দুশ্চিন্তা করবেন না। চাইলে হিজামাহ করাতে পারেন।হিজামায় উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত কুরআন পড়বেন। পবিত্র জীবন যাপন করবেন। ডাক্তার দেখাতে পারেন।

২৬. পর্ন/ মাস্টারবেশনের ফলে চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সাধারণত খুব অল্প বয়সে হস্তমৈথুন শুরু করলে এবং খুব বেশি পরিমানে ও বেশিদিন ধরে এই অভ্যাস থাকলে শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরী হয়। কেননা, বীর্যে ফ্রুক্টোজ, ফ্লাফিন, ফসফরাইল কোলিন, প্রস্টাগ্লান্ডিন, সাইট্রিক এসিড, জিংক, এসকরবিক এসিড, ফসফোলিপিড ইত্যাদি অনেক নিউট্রিয়েন্ট থাকে। এসময়ে ক্ষুধামন্দা, অরুচি ইত্যাদি কারনে খাবার গ্রহনও হয় কম। ফলে ভিটামিন-এ এর অভাব দেখা দেয়। এর ফলে দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে। এর নাম- Nutritional Blindness. এটা যদি প্রধানত ভিটামিন-এ এর জন্যই হয়ে থাকে তবে তাকে বলে - Xerophthalmia. এর ১০ টা স্টেজ আছে। স্টেজ ৪ পর্যন্ত চিকিৎসাযোগ্য। এর পরের স্টেজে চলে গেলে চিকিৎসা তেমন ফলপ্রসূ নয়।

মুক্তির উপায় - ১. কখনোই হস্তমৈথুন না করা। ২. অভ্যাস থাকলে একদমই বাদ দেয়া। ৩. পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া। ৪. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ছোট মাছ, রঙিন ফল, সবুজ সব্জি ইত্যাদি খাওয়া। ৫. মোবাইল, পিসি, টিভি ইত্যাদির মনিটর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। ৬. দৃষ্টি ঝাপসা হলে চোখের ডাক্তার দেখানো। ৭. সুরমা ব্যবহার করাঃ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ। তিনি বলেন, নবী (সঃ) বলেছেন, তোমরা ইছমিদ সুরমা ব্যবহার করো। কারণ, তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে ও পরিষ্কার রাখে এবং অধিক ভ্রু উৎপন্ন করে (ভ্র উদগত হয়)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) আরো বলেন, নবী (সঃ) এর একটি সুরমাদানী ছিল। প্রত্যেক রাত্রে (ঘুমানোর পূর্বে) ডান চোখে তিনবার এবং বাম চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন।

*ব্যাখ্যা : সুরমা ব্যবহারের হুকুম ও পদ্ধতি : *নারী-পুরুষ সকলের জন্য চোখে সুরমা লাগানো ভালো। তবে সওয়াবের নিয়তে সুরমা লাগানো উচিত, যাতে চোখের উপকারের সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সঃ) র এর সুন্নতের অনুসরণের সওয়াবও লাভ হয়। অত্র হাদীসে সুরমা ব্যবহারের তিনটি উপকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা বর্তমান বিজ্ঞানে হুবহু প্রমাণিত। এছাড়াও গবেষণায় আরো উপকারিতা পাওয়া গেছে সেগুলো হলো :

১. সর্বধরনের ছোয়াচে রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। ২. চোখের প্রবেশকৃত ধূলাবালী নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে প্রভৃতি। ৩. অত্যন্ত কার্যকরী জীবাণুনাশক। ৪. চোখে জ্বালাপোড়া খুব কম হয়। সুনানুল কুবর লিল ইমাম বাইহাকী, হা/৮৫১৬। (শামায়েলে তিরমিযি, হাদিস নং ৪১)

২৭. স্মরণশক্তি এবং জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য কী করব?

এই দোআটি পড়বেন-

رَّبِّ زِدْنِى عِلْمًا

রব্বি যিদ্নী ‘ইল্মা-

অর্থঃ হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। সূরা ত্বাহা - ২০:১১৪

***মুখস্তশক্তি/স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য গুনাহ পরিত্যাগ করুন

.ইয়াইয়া বিন ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক লোক মালেক বিন আনাস (রহঃ) কে বললেন: হে আবু আব্দুল্লাহ! মুখস্তশক্তি বাড়ানোর কোন কিছু আছে কি? তিনি বলেন: যদি কোন কিছু থাকে তাহলে সেটা হল: গুনাহ পরিত্যাগ করা।

যখন কোন মানুষ গুনাহ করে তখন এ গুনাহটি তাকে ঘিরে রাখে এবং গুনাহর ফলে তাকে দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা পেয়ে বসে। সে গুনাহর কারণে তার চিন্তাধারা মশগুল হয়ে থাকে। এভাবে এ দুশ্চিন্তা তার অনুভূতির উপর আধিপত্য বিস্তার করে থাকে এবং তাকে অনেক কল্যাণকর কাজ থেকে দূরে রাখে। এর মধ্যে মুখস্থশক্তি অন্যতম। গ্রন্থঃ খতীব আল-জামে (২/৩৮৭)

*** ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন: তুমি মধু খাবে; কারণ এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভাল।

তিনি আরও বলেন: যে হাদিস মুখস্ত করতে চায় সে যেন কিসমিস খায়। গ্রন্থঃ (খতীব আল-বাগদাদীর ‘আল-জামে’ ২/৩৯৪)

*** অধিক হারে আল্লাহর যিকির করা। যেমন- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া। আল্লাহ তাআলা বলেন: “যখন ভুলে যান তখন আল্লাহর যিকির করুন” [সূরা কাহাফ, আয়াত: ২৪]

*** মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি ও ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আরও যে জিনিসটি সাহায্য করে সেটি হচ্ছে- মাথায় শিংগা লাগানো /হিজামা করা।

এটি পরীক্ষিত। (আরও বিস্তারিত জানতে ইবনুল কাইয়্যেম এর ‘আততিব্ব আন-নাবাবি’ পড়ুন)। Source: Islamqa . Info → http://bit.ly/2CoDSKe

২৮. মাথার চুল উঠে যাচ্ছে ?

১) হিজামাহ করুন। হিজামাহ করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ। বিস্তারিত জানতে হিজামাহ লিখে গুগুলে সার্চ দিন।

২) চুলে পেয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। কালোজিরার তেল,নিমের তেল, আমলা, মেথি এগুলোও বেশ উপকারী। এগুলোর ব্যবহার প্রণালী জানার জন্য গুগলে একটু খুঁজে দেখুন।

৩) চুলের ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন।

এটা নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। মাথার চুল পড়ে গেলে আমাকে কেমন দেখাবে, কোনো মেয়ে আমাকে পছন্দ করবেনা, আমার বিয়ে হবেনা এসব ভেবে ভেবে কষ্ট পাবেন না। হীনমন্যতায় ভোগারো কিছু নেই। আল্লাহ্‌ যদি আপনার কপালে বিয়ে লিখে রাখেন তাহলে বিয়ে হবেই । কেউ ঠেকাতে পারবেনা। আর ভাইয়া আল্লাহ্‌র কাছে প্রিয় হতে চেষ্টা করুন। আল্লাহ্‌র ভালোবাসা পাবার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি মানুষের ভালোবাসা পাবেন। আল্লাহ্‌ আপনার চেহারায় নূর ঢেলে দিবেন।

যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসে আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালোবাসেন। হাদিসের বর্ণনায় আল্লাহর ভালোবাসার মাধ্যমেই মানুষ দুনিয়াতে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

পক্ষান্তরে আল্লাহর অবাধ্য কাজ করলেই বান্দা তার বিরাগভাজন হয়ে যায়। সুতরাং যে বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলা ঘৃণা পোষণ করেন, এ ঘৃণার প্রভাবও কঠিন আকারে বিস্তৃতি লাভ করে। দুনিয়াতে সে হয় অপমানিত ও লাঞ্ছিত।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোনো ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, তখন জিবরিলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাস।

অতঃপর জিবরিল আলাইহিস সালাম তাকে ভালোবাসতে থাকেন। তারপর (জিবরিল) আকাশবাসীকে (ফেরেশতাদের) বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন। অতএব তোমরা তাকে ভালোবাস। তখন আকাশের সকল ফেরেশতা তাকে ভালোবাসতে থাকেন। অতঃপর সে ব্যক্তির জন্য জমিনেও জনপ্রিয়তা দান করা হয়।

আর আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন তখন জিবরিলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা কর। তখন জিবরিলও তাকে ঘৃণা করেন। এরপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, তোমরাও তাকে ঘৃণা কর। তখন আকাশবাসীরা তাকে ঘৃণা করতে থাকে। অতঃপর তার জন্য জমিনেও মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি হয়।’ (মুসলিম, মিশকাত)

ইতিহাসের দিকে তাকান । বড় বড় বীরদের মাথায় ছিল টাক। উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ), আলী (রাঃ)... । আপনি টাক নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না ভাই। যা আছে তা নিয়েই আল্লাহ্‌র কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করুন। অনেক মানুষের পা নেই, হাত নেই , অনেক মানুষ চোখে দেখেনা, অন্ধ, কথা শুনতে পায়না, বোবা,কালা তাদের চাইতে আপনি কি সুস্থ নন? নিয়ামত প্রাপ্ত নন?

ভাই সবর করুন, আল্লাহ্‌র ওপর রাজিখুশি থাকুন। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর চাইতেও অনেক ভালো কিছু দিবেন –

আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। ( সূরা আল-আনফাল : ৪৬)

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মুমিনকে যেকোনো বিপদই স্পর্শ করুক না কেন আল্লাহ তার বিনিময়ে তার গুনাহ মাফ করে দেন। এমনকি (চলতি পথে) পায়ে যে কাঁটা বিঁধে (তার বিনিময়েও গুনাহ মাফ করা হয়।)’ বুখারী : ৫৬৪০; মুসলিম : ৬৭৩০।

উমর বিন আবদুল আজীজ রহ. বলেন, ‘যাকে আল্লাহ তাআলা কোনো নেয়ামত দিয়ে তা ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তার স্থলে তাকে সবর দান করেছেন, তো এই ব্যক্তি থেকে যা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তার চেয়ে সেটাই উত্তম যা তাকে দান করা হয়েছে।’ বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান : ৯৫৬৫; মুসান্নাফ, ইবন আবী শাইবা : ৩৬২৪২।

ভাই, আল্লাহ্‌র ওপর ভরসা রাখুন। আল্লাহ্‌ আপনার জন্য নিশ্চয়ই উত্তম কোনো পরিকল্পনা করে রেখেছেন।

সাধ্যমতো চুলের যত্ন করুন। আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করুন।

আমরা খুব ছোটো মানুষ। আমাদের লিখার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব ইনশা আল্লাহ্‌। যেকোনো ধরণের পরামর্শ বা সাজেশন হাইলি এপ্রিসিয়েটেড।

চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ...

পড়ুন আগের পর্বগুলোঃ

ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার (প্রথম পর্ব)

ভেঙ্গে ফেলো এই কারগার (দ্বিতীয় পর্ব)

ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার (তৃতীয় পর্ব)

ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার (চতুর্থ পর্ব )