by lostmodesty | Aug 31, 2018 | ব্লগ
বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম
প্রাণপ্রিয় ভাই, আমরা জানি, বর্তমানে বিভিন্ন কারণে যুব সমাজ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক যুবক বিভিন্ন পঙ্কিল অন্ধকারের পথে নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেনা-ব্যাভিচার হয়ে দাঁড়িয়েছে খুব সাধারণ ব্যাপার। অথচ ইসলামে এ কাজটি কঠিনভবে নিষিদ্ধ। এর জন্য রয়েছে অত্যন্ত কঠিন শাস্তি। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি এ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে তার জন্য রয়েছে বিরাট পূরস্কার। আজকের এই পোষ্টে কোন ব্যক্তি সুযোগ পাওয়ার পরেও যদি এ ঘৃণিত অপকর্ম থেকে বিরত থাকে তাহলে তার জন্য আল্লাহ তাআলা কী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তা কুরআন ও হাদীসের আলোকে অতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হল।
কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দান:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ تَعَالَى فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ إِمَامٌ عَادِلٌ وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاه
“যে দিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া কোন ছায়া থাকবেনা সে দিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর আরশের নিচে ছায়া দান করবেন। তারা হলেনঃ
(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক
(২) যে যুবক তাঁর প্রভুর এবাদতের মাঝে প্রতিপালিত হয়ে বড় হয়েছে।
(৩) যে ব্যক্তির মন সর্বদা মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
(৪) এমন দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সন্তষ্টির জন্যে একে অপরকে ভালবাসে। আল্লাহর জন্য তারা পরস্পরে একত্রিত হয় এবং আল্লাহর জন্য পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়।
(৫) এমন পুরুষ যাকে একজন সুন্দরী ও সম্ভ্রান- বংশের মহিলা নিজের দিকে আহবান করে, আর সে পুরুষ বলেঃ আমি আল্লাহকে ভয় করি। (তাই তোমার ডাকে সাড়া দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়)।
(৬) যে দানশীল ব্যক্তি এমন গোপনে দান করে, ডান হাত দিয়ে যা দান করে, বাম হাত তা অবগত হতে পারেনা। অর্থাৎ তিনি কেবল আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্যেই দান করেন। তাই মানুষকে শুনানো বা দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনা।
(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে বসে আল্লাহকে স্মরণ করে চোখের পানি প্রবাহিত করে”।
(সহীহ বুখারী)
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার মর্যাদা লাভঃ
ইউসুফ (আঃ)এর ঘটনাটি এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি এই মহান মর্যাদা অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। এই ঘটনায় যুবকদের জন্য শিক্ষার বিষয় রয়েছে। ঘটনাটি আল্লাহ্ তাআলা কুরআনুল কারীমে উল্লেখ করে বলেনঃ
وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَنْ نَفْسِهِ وَغَلَّقَتِ الأبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الظالمون الظَّالِمُونَ
“আর সে ইউসুফ(আ) যে মহিলার ঘরে ছিল ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ বন্ধ করে দিল। সে মহিলা বলল: শুন, তোমাকে বলছি, এদিকে আস! সে বলল: আল্লাহ্ রক্ষা করুন; (তোমার স্বামী) আমার মালিক। তিনি আমাকে সযত্নে থাকতে দিয়েছেন। নিশ্চয় সীমা লংঘনকারীগণ সফল হয় না”। (সূরা ইউসুফঃ ২৩)
কে এই মহিলা? তিনি হচ্ছেন মিশরের শাসক আযীযের স্ত্রী। কুরআনের ভাষা অনুযায়ী বুঝা যায় ইউসূফ (আ এর অন্তরে বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং তিনি তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তিনি এ কাজ থেকে বিরত থাকেন। আল্লাহ্ তার অন্তর থেকে অশ্লীল কাজের চিন্তা দূর করে দিয়েছেন। তিনি ছিলেন আল্লাহর খালেস বান্দা। এভাবেই আল্লাহ্ মুত্তাকীদেরকে রক্ষা করেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
وَلَقَدْ هَمَّتْ بِهِ وَهَمَّ بِهَا لَوْلا أَنْ رَأَى بُرْهَانَ رَبِّهِ كَذَلِكَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوءَ وَالْفَحْشَاءَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُخْلَصِينَ
“ নিশ্চয় মহিলা তাঁর বিষয়ে চিন্তা করেছিল এবং সে ইউসুফ (আ) ও মহিলার বিষয়ে চিন্তা করত। যদি না সে স্বীয় পালনকর্তার মহিমা অবলোকন করত। এমনিভাবে হয়েছে, যাতে আমি তার কাছ থেকে মন্দ ও নির্লজ্জ বিষয় সরিয়ে দেই। নিশ্চয় সে আমার মনোনীত বান্দাদের একজন। (সূরা ইউসুফঃ ২৪)
যে যুবক তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ
قَالَ مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ
“যে ব্যক্তি তার মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে আমি তার জন্যে বেহেশতের জিম্মাদার হবো”। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
“আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না, নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। ” (আয়াত নং-৩২, সূরা নং- ১৭, বনী-ইসরাইল)
ব্যভিচার পরিত্যাগ করার উসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করলে তা কবুল হয় এবং আল্লাহ বিপদ থেকে রক্ষা করেনঃ সহীহ বুখারীতে উল্লেখিত বিখ্যাত তিন ব্যক্তির ঘটনাটি পড়ুন এবং দেখুন, আল্লাহ তাআলা কিভাবে তাদেরকে কঠিন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।
ইবনে উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, “অতীত কালে তিনজন লোক পথ চলছিল। পথিমধ্যে রাত্রি যাপন কারার জন্য তারা একটি পাহাড়ের গুহায় ঢুকে পড়ল। উপর থেকে বিশাল আকারের একটি পাথর গড়িয়ে এসে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তাদের জন্য বের হওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট রইলনা। তাদের একজন অপরজনকে বলতে লাগল, তোমরা প্রত্যেকেই আপন আপন সৎআমল আল্লাহর দরবারে তুলে ধরে তার উসীলা দিয়ে দু’আ করা ব্যতীত এই পাথর থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই।
তাদের একজন বললঃ হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা অতি বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়েছিল। আমি তাদের পূর্বে আমার পরিবার-পরিজন কিংবা দাস-দাসীকে দুধ পান করাতাম না। একদিন ঘাসের সন্ধানে আমি অনেক দূরে চলে গেলাম। তারা ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে আমি ফেরত আসতে পারলাম না। আমি তাদের জন্য দুধ দহন করলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পেয়ালা নিয়ে তাদের মাথার পাশে দাড়িয়ে রইলাম। আমি তাদের পূর্বে স্ত্রী-পরিবার এবং দাস-দাসীকে দুধ পান করানো অপছন্দ করলাম। দুধের পেয়ালা হাতে নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম তাদের জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষায়। এভাবে সারা রাত কেটে গিয়ে ফজর উদীত হলে আমার পিতা-মাতা ঘুম থেকে জেগে দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ! আমি একাজটি একমাত্র আপনার সন’ষ্টি অর্জনের জন্য সম্পাদন করেছি। সুতরাং আমরা এই পাথরটির কারণে আমরা যে বিপদে পড়েছি তা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করুন। এভাবে দু’আ করার সাথে সাথে পাথরটি একটু সরে গেল,কিন্তু তখনও বের হওয়ার মত রাস্তা হয়নি।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহ! আমার একজন চাচতো বোন ছিল। তাকে আমি খুব ভালবাসতাম। আমি তার কাছে আমার মনোবাসনা পেশ করলাম। সে অস্বীকার করল। অবশেষে এক বছর খুব দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তখন সে খাদ্যাভাবে পড়ে সাহায্যের জন্য আমার নিকট আসল। আমি তাকে একশত বিশ দিরহাম দিলাম এই শর্তে যে, সে আমার সাথে নির্জনে সাক্ষাৎ করবে। সে এতে রাজি হয়ে গেল। কিন্তু আমি যখন সম্পূর্ণ সুযোগ লাভ করলাম এবং তার দুই উরুর মাঝখানে বসে পড়লাম তখন সে বলতে লাগলঃ হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে মোহর ভঙ্গ করো না অর্থাৎ অন্যায়ভাবে তুমি আমার সতীত্ব হরণ করতে করো না। ফলে আমি তার সাথে সহবাস করাকে পাপের কাজ মনে করলাম। সুতরাং সে আমার সবচেয়ে কাছে হওয়া সত্বেও আমি তার কাছ থেকে চলে আসলাম। আর আমি তাকে যে একশটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম তাও ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ! আমি যদি একাজটি একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সম্পাদন করে থাকি তাহলে আমরা এই পাথরটির কারণে আমরা যে বিপদে পড়েছি তা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করুন। এভাবে দু’আ করার সাথে সাথে পাথরটি একটু সরে গেল, কিন্তু তখনও বের হওয়ার মত আবস্থা হয়নি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তৃতীয়জন বললঃ হে আল্লাহ! নির্ধারিত মজুরীর বিনিময়ে আমি কয়েকটি শ্রমিক নিয়োগ করলাম। কাজ শেষে আমি তাদেরকে পারিশ্রমিক প্রদান করলাম। কিন্তু একজন লোক মজুরী গ্রহণ না করেই চলে গেল। আমি তার প্রাপ্য টাকা বাড়াতে থাকলাম। একপর্যায়ে তা প্রচুর সম্পদে পরিণত হল। কিছুকাল পর সে আমার নিকট এসে বললঃ হে আল্লাহর বান্দা! আমার মজুরী দিয়ে দাও। আমি তাকে বললামঃ এসব উট, গরু, ছাগল এবং গোলাম যা তুমি দেখতে পাচ্ছ তা সবই তোমার। সে বললঃ হে আল্লাহর বান্দা! আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও এবং আমার সাথে বিদ্রুপ করোনা। আমি বললামঃ আমি তোমার সাথে বিদ্রুপ করছিনা; বরং এগুলো তোমারই। অতঃপর সে সমস- সম্পদ নিয়ে চলে গেল। একটিও রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য একাজটি করেছি, তাহলে আজ আমাদেরকে এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। সাথে সাথে পাথরটি সম্পূর্ণরূপে সরে গেল। তারা নিরাপদে সেখান থেকে বের হয়ে এল।” (সহীহ বুখারী)
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করে পবিত্রতার সাথে জীবন যাপন করে আল্লাহ তার সকল সমস্যা দূর কর দেন,তার অর্থ-সম্পত্তিতে বরকত দান করেন এ ছাড়াও তার জন্য রয়ছে অসংখ্য পুরস্কার। সর্বপরি আল্লাহ পরকালে তার জন্য প্রস্তুত করে রেখছেন চিরসুখের নিবাস জান্নাত। আসুন, মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানাই, হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে তোমার প্রতিশ্রুত জান্নাত থেকে বঞ্চিত করনা। আমাদেরকে কুলশমুক্ত পবিত্র জীবনগঠনের তাওফীক দাও। সেই সাথে আমাদের যুব সমাজকে অধ:পতনের হাত থেকে রক্ষা কর আর তাদেরকে বানাও আলোকিত পথের রাহবার। তুমিই একমাত্র সাহায্যকারী।
[ কৃতজ্ঞতাঃ বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব ]
by lostmodesty | Aug 31, 2018 | ব্লগ
বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম
রিমাইন্ডার – ২০
হে যুবক!
তোমাকে বলছি এখনো কি সময় হয়নি তোমার রবের দিকে ফিরে আসার ?
এখনো কি সময় হয়নি তোমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করার?
আর কত সময় তুমি গুনাহ-এ বিভোর হয়ে থাকবে ? আর কত সময় তুমি পাপের সমুদ্রে হাবুডুবু খাবে ? আর কত সময় তুমি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে উদাসীন হয়ে থাকবে ?
তোমার প্রতিপালক তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
“হে লোকসকল ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে উদাসীন করে রাখল ? ”
হে যুবক!
তুমি পাহাড়সম পরিমাণ গুনাহ করে ফেলেছ , গুনাহ করতে করতে গুনাহ’র সমুদ্রে হাবুডূবু খাচ্ছ,। পৃথিবীর এমন কোন খারাপ কাজ বাদ নেই, যেটা তুমি কর নি।
মনে মনে ভাবছো ! আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা’আলা তোমাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে তুমি নৈরাশ হয়ে গেছ।
কিন্তু জেনে রাখ আল্লাহ তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
“হে আমার বান্দারা ! যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ , যারা নিজেদের উপর অবিচার করেছ , তোমরা আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নৈরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের সকল গুনাহকে ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”
—————————–
” তোমার রবের দিকে ফিরে এসো ”
(কালেক্টেড)
রিমাইন্ডার – ২১
(ভালো মানুষ হচ্ছে তারা,) যারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা (এর দ্বারা) নিজেদের ওপর নিজেরা যুলুম করে ফেলে (সাথে সাথেই) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং গুনাহের জন্যে (আল্লাহর) ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেননা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কে আছে যে তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে? (তদুপরি) এরা জেনে বুঝে নিজেদের গুনাহের ওপর অটল হয়েও বসে থাকে না।
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত -১৩৫)
রিমাইন্ডার-২২
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাত ইল্লাহ বিল্লাহ ।
যতবারই এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=pOFZ7sYS48M ) দেখছি , ততবারই উপলব্ধি করছি মানুষ কতটা অসহায় । মৃত্যুর চৌকাঠে পা রেখেও মানুষ গত দম্ভ আর অহংকারের সঙ্গে জমিনের বুকে হেঁটে বেড়ায় । ভাবটা এমন সে চিরদিন এভাবেই বেঁচে থাকবে , কোনদিন তাকে পোকা মাকড়ের ঘর অন্ধকার কবরে যেতে হবে না । মুনকার নাকীর কোনদিন তাকে রিমান্ডে নিবে না ।
কয়েকটা নিউজের লিংক দেওয়া হল । সবগুলো নিউজই একটা বিষয় কমন – আকস্মিক মৃত্যু ।
পর্ন দেখা অবস্থায় ।
শেষ বিচারের দিন কি অবস্থায় এরা আল্লাহ্র সঙ্গে দেখা করবেন , ভেবে দেখুন একবার ।
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাত ইল্লাহ বিল্লাহ ।
ইয়া আল্লাহ্, আমাদের এরকম করুন পরিনতি থেকে রক্ষা করুন । আমাদের শেষকাজ যেন হয় আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো কাজ । জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ যেন হয় সর্বশেষ অংশ , আর জীবনের সবচেয়ে ভালো দিন যেন হয় শেষ বিচারের দিন ।
১) http://nyp.st/1UF7uEi
২) http://bit.ly/2EXt97O
৩) http://cbsn.ws/2DlDWZg
রিমাইন্ডার -২৩
“কোন পাপ করার জন্য আপনার কামনা যত বড় হবে, সেই পাপকে এড়িয়ে গেলে আপনার ঈমান তত বড় হবে।”
– শাইখ মুহাম্মাদ বিন আল-উসাইমিন
রিমাইন্ডার – ২৪
যদি আপনি আপনার ঈমানের অবস্থা পরীক্ষা করতে চান তবে যখন একা থাকেন তখন নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন। একাকী থাকা অবস্থায় নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুণ।
শুধু দু রাকাত সলাত আদায় এবং একদিন রোজা রাখার মাধ্যমে ঈমান সৃষ্টি হয় না..
বরং এটা সৃষ্টি হয় নিজের নফস এবং এর কামনা-বাসনার বিরুদ্ধে মুজাহাদা করার মাধ্যমে।
আল্লাহরর কসম! ইউসুফ(আ) এত বড় মর্যাদা এবং সফলতা লাভ করতে পেরেছেন তার নিজ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে।
“পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করেছে এবং নিজেকে কামনা বাসনা থেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত”-(৭৯: ৪০-৪১)
যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন যারা আল্লাহর আরশের ছায়ায় স্থান পাবে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে….যে নির্জনে আকাকী অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দুই চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়….
কৃতজ্ঞতাঃ- Bd Reminder : বাংলা ইসলামিক রিমাইন্ডার
রিমাইন্ডার – ২৫
আমাদের জীবনের বিশাল একটা সময় আমরা খরচ করি নিজেদের সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আমরা সবাই চাই পোষাক, পারফিউম, হেয়ারস্টাইল, আচরণ, বাচনভঙ্গি – সবক্ষেত্রেই মানুষের সামনে নিজেদের একটি পরিশীলিত রূপ তুলে ধরতে। আরেকজন মানুষ আমাকে দেখছে – এটা জানা মাত্রই সাধারণত আমাদের আচরণে একটা পরিবর্তন আসে। বিশেষ ভাবে বিপরীত লিঙ্গের কারো মনোযোগ পেলে আমরা বেশ অনেকটাই আত্মসচেতন হয়ে উঠি।
.
বলা যায় আমাদের সবার বিভিন্ন ভারশান বা সংস্করণ আছে। স্থান-কাল-প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা নিজেদের বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করি। জাকজমকপূর্ণ কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাই সেভাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সামনে আমরা নিজেদের উপস্থাপন করি না। সহকর্মীদের সাথে আমাদের আচরণ যেমন হয়, নিজ পরিবারের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সেভাবে আচরণ করি না।
.
অলস দুপুরে ভুঁড়ি উদোম করে নাক ডাকতে থাকা দোকানীও কাস্টোমার আসা মাত্র সলজ্জ ভাবে চেষ্টা করে নিজেকে উপস্থাপনীয় করে তুলতে। এলাকার সবচেয়ে বেপরোয়া ছেলেগুলোও মুরব্বি আর বড় ভাইদের সামনে সিগারেট ‘ব্যান’ করে। দুই হাতে পেছনে দিয়ে সুবোধ ছেলের মতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বাসে অবলীলায় নাক খোঁচাতে থাকা লোকটাও যখন বুঝতে পারে মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে, তখন চেষ্টা করে যথসম্ভব ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ভাবে নাকের ভেতর থেকে আঙ্গুল সরিয়ে আনার (অধিকাংশ ক্ষেত্রে)।
.
রিকশায় কিংবা সিএনজি প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে পাবলিকলি অসভ্যতায় মেতে ওঠা ছেলে বা মেয়েটাও চিন্তা করতে পারে না তার মা-বাবা কিংবা পরিবারের কারো চোখের সামনে একই কাজ করার। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিকশাচালকদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে থাকা লোকগুলোও চেষ্টা করে নিজেদের নির্লজ্জতা ঢাকার। ঘুষ যাদের জীবিকার মূল উৎস তারাও চেষ্টা করে কমিশন, স্পীড মানি, বখশিশ, নাস্তা-পানির টাকা – শ বিভিন্ন নামে নিজেদের অপরাধের একটা সম্মানজনক ব্যাখ্যা দেবার।
.
আর আমরা যখন সম্পূর্ণ একা, যখন আমরা নিশ্চিত থাকি আর কেউ আমাদের দেখছে না – তখন আমরা যেভাবে থাকি, লোকচক্ষুর সামনে আমরা সেভাবে থাকি না। সামাজিক সঙ্কোচ, লৌকিকতার সীমানা, চক্ষুলজ্জার লাগাম যখন থাকে না তখন আমরা অনেকাংশেই বদলে যাই। কেউ আমাকে দেখছে না এটা জানা আমাদের প্রভাবিত করে। আর তাই নির্জনে আমরা এমন অনেক কাজ করি যা কারো সামনে করার কথা আমরা কল্পনাও করি না।
.
কিন্তু আমরা ভুলে যাই একজন সব সময় আমাদের দেখছেন। যখন আমরা আমাদের পরিবারের চোখের আড়াল হই তখনো তিনি আমাদের দেখছেন, যখন আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে থাকি তখনো তিনি আমাদের দেখছেন। যখন আমরা লোকচক্ষুর অন্তরালে কিংবা অন্ধকারের আড়ালে সীমালঙ্ঘনে মেতে উঠি তখনো তিনি আমাদের দেখেন, যখন আমরা নিজেদেরকে ধুয়ে মুছে মানুষের সামনে আসি তখনো তিনি আমাদের দেখছেন।
.
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
.
মাটির নিচে, আকাশের উপররে, সমুদ্রের গভীর কোন কিছুই তাঁর অগোচরে হয় না। কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন থাকে না। আপনার অপরাধ, আপনার সীমালঙ্ঘন, আপনার মুহুর্তের পদস্খলন এমনকি আপনার মনের গভীরে লুকিয়ে রাখা চিন্তাগুলো – আপনি কোন কিছুই তাঁর কাছ থেকে আড়াল করতে পারবেন না।
.
“আর তুমি যে অবস্থাতেই থাক না কেন আর যা কিছু তিলাওয়াত কর না কেন আল্লাহর পক্ষ হতে কুরআন থেকে এবং তোমরা যে আমলই কর না কেন, আমি তোমাদের উপর সাক্ষী থাকি, যখন তোমরা তাতে নিমগ্ন হও। তোমার রব থেকে গোপন থাকে না যমীনের বা আসমানের অণু পরিমাণ কিছুই এবং তা থেকে ছোট বা বড়, তবে (এর সব কিছুই) রয়েছে সুস্পষ্ট কিতাবে।” [সূরা ইউনুস। ৬১]
.
মানুষের ব্যাপারে আমরা লজ্জা বোধ করি। মানুষের দৃষ্টির ব্যাপারে আমরা সঙ্কোচবোধ করি। পারিপার্শ্বিকতার কারনে আমরা আমাদের আচরণ, ব্যবহার আর প্রবৃত্তির উপর লাগাম দেই। কিন্তু আমরা ভুলে থাকি আল্লাহ আমাদের দেখছেন। আমরা ভুলে যাই তিনি সব কিছু শোনেন, তিনি সব কিছু দেখেন, তিনি সব কিছু জানেন। আমরা ভুলে যাই তাঁর সামনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমরা ভুলে যাই সেইদিন আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য দেবে। আমরা ভুলে যাই সেইদিন এমন এক কিতাব, এমন এক আমলনামা আমাদেরকে দেয়া হবে যাতে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়া হবে না।
.
যিনি অন্ধকারের সৃষ্টিকর্তা তিনি আপনাকে দেখছেন। যিনি আলোর সৃষ্টিকর্তা তিনি আপনাকে দেখছেন। যিনি সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা, সেই মহাস্রষ্টা আপনাকে দেখছেন। প্রতিটি মূহুর্তে। এক সেকেন্ডের লক্ষ কোটি ভাগের এক ভাগের জন্যও তাঁর আড়াল আমরা হতে পারি না। তবুও কি আমরা আল্লাহকে স্মরণ করবো না? তবুও কি আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দৃষ্টির ব্যাপারে সলজ্জ হবো না?
.
#KnowYourDeen
ইউটিউব লিঙ্ক – https://youtu.be/DO7R0MKGjQ0
কৃতজ্ঞতা Asif Adnan
by lostmodesty | Aug 31, 2018 | ব্লগ
বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম ।
সেই পুরনো অনুভূতিটা আবার ফিরে আসলো; যেই অনুভূতিটা একসময় আমার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল।
সকালে ফেসবুকে লগইন করার পর দেখলাম একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছে । মানুষটা ফেসবুকে কেমন তা দেখার জন্য তাঁর টাইমলাইনে গেলাম । প্রথমেই একটা ছবি পড়লো সামনে । সেটা দেখে আমার ভীমড়ি খাবার জোগাড় । পালিয়ে বাঁচার জন্য স্ক্রল করে নীচে নামলাম । ওরে বাপরে! চাঁদু তো দেখি পুরো টাইম লাইন জুড়েই পর্নস্টারদের মেলা বসিয়েছে । তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসলাম ফেসবুক থেকে ।
অনেক বছর ধরেই আমি পর্নমুভিতে আসক্ত ছিলাম । অনেক চেষ্টার পরে সে আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি । আলহামদুলিল্লাহ । তারপর অনেক দিন চলে গেছে । পর্নমুভি দেখিনি একবারও। এরকম গ্রাফিক ছবিও না । হার্টবিট কিছুটা বেড়ে গেল । ভেতরে হরমোনের জোয়ার শুরু হল । বিস্মৃতির অতল থেকে বহুদিন আগে দেখা পর্নমুভির টুকরো টুকরো দৃশ্যগুলো মাথার মধ্যে ঘুরতে শুরু করল । আমি বেশ আতঙ্কিত হয়ে গেলাম । আমি জানি এর পর কি ঘটতে চলেছে ।
আমি যখন পর্ন আসক্ত ছিলাম তখন মাঝে মাঝেই কসম টসম খেয়ে প্রতিজ্ঞা করতাম, ‘আল্লাহ! এবারই শেষ । আমি আর কখনোই পর্ন দেখবনা” ।
প্রতিজ্ঞার উপর টিকে থাকতাম কয়েকদিন । তারপর আবার যেই কে সেই । যে কয়েকটা দিন ভালো থাকতাম সেই কয়েকটা দিন মাথার মধ্যে কিছুক্ষণ পরপরই পর্নমুভিতে দেখা কোন দৃশ্য ঘাই মারতো । এমনকি নামাযের মধ্যেও । নিজেকে সামলাতে কষ্ট হতো । ঐগুলো নিয়ে চিন্তা করতাম । তারপর একটু দুর্বল মুহূর্তে এই পর্ন ইমেজ গুলোর কাছে হার মানতাম । আবার দেখে ফেলতাম পর্ন । মাস্টারবেট করতাম । পর্ন আসক্তির শেষের দিকে যখন দৃশ্যগুলো মাথায় উঁকি মারতো তখন সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতাম । তো আজকে যখন সেই পুরনো অনুভূতি ফিরে আসলো তখন হুট করেই মাথাতে একটা চিন্তা আসলো । আচ্ছা পর্নমুভির ঐ মেয়েগুলোর হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করলে কেমন হয়!
সঙ্গে সঙ্গে দু’আ করলাম –
– আল্লাহ তুমি ঐ মেয়েগুলোকে হেদায়াত দাও । একান্ত তোমার কাছ থেকে অনুগ্রহ দান করো
– আল্লাহ তুমি ওই মেয়েগুলোকে ওই নরক থেকে উদ্ধার করো । তাদের হৃদয়ের ক্ষতগুলো সারিয়ে দাও ।
– আল্লাহ ওই মেয়েদের জন্য তুমি অভিভাবক নির্ধারণ করে দাও
পরের একসপ্তাহ ধরে ফেসবুকে দেখা সেই মেয়েটার ছবি আমার মাথাতে ঘুরতে থাকলো । আমার
ভেতরে একটা চাপ তৈরি হতে থাকলো পর্নমুভি দেখার । প্রত্যেকবারই আমি আল্লাহর কাছে ঐ মেয়েটার হেদায়াতের জন্য দু’আ করতে থাকলাম । একটা সময়ে আমার ফোকাস পরিবর্তন হয়ে গেল। ঐ মেয়েটার কথা আর মাথাতেই আসলো না ।
একসময় আমি জানতামই না পর্নইন্ডাস্ট্রি গুলোতে মেয়েদের ওপর কি জঘন্য নির্যাতন[১,২,৩] চালানো হয় ।ঐগুলো জানার পরে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম । আমাদের বিকৃত লালসা চরিতার্থ করার জন্য কত মেয়ের যে জীবন নষ্ট হয় ! আমরা যেমন আটকা পড়েছি পর্ন এর নেশায় , ঐ মেয়েগুলোও তেমনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রীর ফাঁদে পড়েছে ।
পাশ্চাত্য নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে । অথচ এই পাশ্চাত্য আর তাদের পা চাটা দেশগুলোতেই বড় বড় সব পর্ন ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে, যেখানে নারীদেরকে স্লেইভ বানিয়ে রাখা হয়েছে । এটা নিয়ে পাশ্চাত্যের তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই । তাদের সব চিন্তা কেবল মুসলিম দেশের নারীদের বোরখা আর হিজাব খোলা নিয়ে । যেন বোরখা না পড়লে, হিজাব না করলেই নারীরা স্বাধীন হয়ে যাবে ![৪,৫]
ভাই, আপনারো কি পর্ন ইমেজ থেকে মুক্তি মিলছে না ? বারবার চেষ্টা করেও ভুলতে পারছেন না পর্নমুভিতে দেখা দৃশ্য গুলো ? অস্থির একটা সময় পার করছেন ? পর্ন দেখার প্রচন্ড ইচ্ছে জাগছে আপনার মনে ?
এরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আপনার জন্য আমার সাজেশান হল, যখনই কোন দৃশ্য আপনার মাথায় আসবে সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যের মেয়েগুলোর জন্য দু’আ করা। ছেলেদেরকেই বা বাদ দিবেন কেন ? ছেলেদের জন্যেও দু’আ করুন ।
এভাবে দু’আ করাটা খুবই ইফেক্টিভ ।
এর মাধ্যমে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে ।ঐ মেয়েগুলো আপনার কাছে এখন আর কেবল ভোগ করার সামগ্রী না বরং সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সব মানবীয় অনুভূতি নিয়ে রক্ত মাংশের একটা জলজ্যান্ত মানুষ । যাদেরও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, ভালোবাসা পেতে ইচ্ছে করে , প্রিয় মানুষটার কাঁধে মাথা রেখে জোস্ন্যা দেখতে ইচ্ছে করে , প্রিয় মানুষটা যখন তার কপালের অগোছাল চুল সরিয়ে চুমু খায় তখন তাদেরও এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে ।
আপনি আল্লাহর নাম স্মরণ করছেন , তাঁর কাছে দু’আ করছেন । এই সময় শয়তান খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারবে না । আপনার ফোকাস চেইঞ্জ হয়ে যাবে ।
আর আপনার দু’আর কারণে যদি আল্লাহ্ সুবঃ কাউকে হেদায়াত দিয়েই দেন তাহলে কি বিপুল পরিমাণ পুরষ্কার আপনার জন্য অপেক্ষা করবে সেটাও ভেবে দেখার বিষয় ।
আমি এভাবে দু’আর মাধ্যমে এই আসক্তি থেকে বের হয়ে এসেছি । আপনিও পারবেন ইনশা আল্লাহ্।
[লস্ট মডেস্টি অনুবাদ টিম কর্তৃক অনূদিত]
পড়তে পারেন – দু’আ তো করেছিলাম – http://bit.ly/2g6cw10
রেফারেন্সঃ
[১] https://goo.gl/RovGDs
[২] https://goo.gl/HNVy7Z
[৩] https://goo.gl/ua8ZNX
[৪] http://bit.ly/2itCBWi
[৫] https://goo.gl/v6qlS2
by lostmodesty | Aug 31, 2018 | ব্লগ
ছেলেটির ভালো লাগতো মিথিলাকে, আর মেয়েটির তাহসানকে।
ছেলেটি বাথরুমে গুনগুন করে গাইতো আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবোনা….
মেয়েটি রোজ সন্ধ্যায় চুল বাধার সময় গাইতো বিন্দু আমি, তুমি আমায় ঘিরে…..
দুজনেরই পছন্দের দম্পতি ছিল তাহসান- মিথিলা।
ছেলেটির একা থাকতে ভালো লাগতো। খোলা আকাশের নিচে শুয়ে শুয়ে তারা গুনতো আকাশের।
মেয়েটিও একা একা থাকতে ভালোবাসতো। অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকতো একা।
গণিত কিছুই বুঝতো না মেয়েটি। মেডিকেলে পড়তে গিয়েছিল তাই। ছেলেটি ছিল অঙ্কের ওস্তাদ। শখ করে পড়তে গিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
ছেলেটি ছিল লাজুক।
অনেক মেয়েকে ভালো লাগলেও মুখ ফুটে বলেনি কাউকে।
মেয়েটিও ।
ছেলেটি ভাবতো মনের মানুষটার মাথায় থাকবে সবুজ ওড়না। চোখ থাকবে লজ্জায় আনত।
মেয়েটি ভাবতো মনের মানুষটা ভালোবাসবে তার ঘোরলাগা কালো দু’চোখ দুচোখ।
একদিন দেখা হয়ে গেল তাদের ।
মেয়েটির মাথায় ছিল সবুজ ওড়না। চোখ দুটো লজ্জায় নামানো। ঠিক ছেলেটি যেমন চেয়েছিল।
ছেলেটির চোখ মুখে ছিল মুগ্ধতা আর বিস্ময়। বুকে ছিল সুখের মতো ব্যাথা। ঠিক মেয়েটি যেমন চেয়েছিল।
ইনবক্সে শুরু হলো কথা চালাচালি।
ছেলেটি শরতের এক বিকেলে মেয়েটিকে বললো তোমার জন্য দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বাঁধতে পারি লাল ফিতে,সারা পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনতে পারি ১০৮ টি নীলপদ্ম।
মেয়েটি শুধু হেসেছিল।
বুকে কাঁপন উঠেছিল ছেলেটির।
তারপর?
তারপর শীতল বাতাস বইতে শুরু করলো।
ভালোবাসা জমে মেঘ করে আসলো।
অঝোর ধারায় নামলো বৃষ্টি।
প্রেমের।
দিন যেতে থাকলো।
বদলে যেতে থাকলো দিন।
ছেলেটির অন্তর কেন জানি খাঁ খাঁ করতো। অশান্তি অশান্তি লাগতো সবসময়।
ছেলেটি একদিন জানলো এভাবে প্রেম করা হারাম।
ছেলেটি একদিন বুঝলো হারাম থেকে, আল্লাহর আইন অমান্য করে শান্তি পাওয়া যায় না কখনো।
মনের সঙ্গে কয়েকদিন যুদ্ধ করলো ছেলেটি। তারপর মেয়েটিকে জানালো।
মেয়েটির দুচোখে প্লাবণ নামলো।
ছেলেটি তবুও সরে গেল দূরে।
মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল ছয় মাস পরে।
তারপরে তার কি হল আমরা তা আর জানি না।
এদিকে ছেলেটির জীবনে এলো আমূল পরিবর্তন।
লুকিয়ে লুকিয়ে সলাতে কাঁদে সে।
খাঁ খাঁ করা বুকটা ভরে যায় অনাবিল প্রশান্তিতে।
ছেলেটি আজো খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকে। চেয়ে থাকে শত সহস্র আলোক বর্ষ দূরের পুরোনো সেই নক্ষত্রের দিকে।
ছেলেটি আজো ভাবে একজনের কথা, আল্লাহ (সুবঃ) যাকে বানিয়েছেন বানানোর মতো করেই, প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ……. মাথায় সবুজ ওড়না, লজ্জায় আনত দুচোখ, দাঁড়িয়ে আছে আকাশের ওপারের লাল নীল মনিমুক্তো খচিত এক বাড়ির সামনে…
চিরদিনের সঙ্গী হবে বলে।
চোখ শীতল করবে বলে।
#আল্লাহর_কাছে_আসার_গল্প
by lostmodesty | Aug 31, 2018 | ব্লগ
বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম ।
কতই বা বয়স হবে ছেলেটার । বিশের কোঠা হয়তো সবে পেরিয়েছে । মুখটা দেখলে আরো ছোট মনে হত । বাচ্চা ছেলের মতো একধরনের সরলত ছিল সেই মুখে । ছেলেটা জানতো কীভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয় । বন্ধু , আড্ডা ,গান । আজ এর বাসায় বারবিকিউ পার্টি , তো কাল ওর বাসায় লেট নাইট পার্টি , কয়দিন পর পরই বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাং আউটে যেত। বাবা মার কেইউ তাকে শাসন করতে পারতো না । পরিবারের ছোট ছেলে ছিল তো । ছিল বলতে এখন আর নেই । হুট করে একদিন সে মরে পড়ে ছিল রাস্তার পাশে ।
ছেলেটা প্রচন্ড ভালবাসতো কার ড্রাইভিং । এই বয়সের ছেলে ছোকরারা যা হয় আরকি । আস্তে গাড়ি চালাতে জানে না । এই ছেলেটাও তার ব্যতিক্রম ছিল না । রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামলে আর হুশ থাকতো না স্পিডোমিটারের কাঁটার দিকে । ধুলো উড়িয়ে, প্রচন্ড শব্দে আশে পাশের মানুষজনকে সচকিত করে ড্রাইভিং করত । তবে খুব একটা ভয়ের কিছু ছিল না । ছেলেটা ‘কার’ বেশ ভালোই চালাতো ।
একদিন বন্ধুদের নিয়ে হ্যাং আউট করার সময় সে মারাত্মক একটা এক্সিডেন্ট করে বসল । তার বন্ধুদের তেমন কোন ক্ষতি হলনা । দুএক যায়গায় সামান্য কেটে গেল আর কারো কারো হাতের চামড়া এক আধটু ছিলে গেল । কিন্তু সে -স্পট ডেড।
বন্ধু বান্ধবেরা শোকে একটু বেশি মুষড়ে পড়ল । স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই কান্নাকাটি করল । কবর দিয়ে আসার পরও বেশ কয়েকদিন তাদের শোকের মাত্রা এতটুকুও কমলোনা । বরং কিছুটা যেন বাড়ল ।
সন্দেহ হওয়াতে লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করল – “কী ব্যাপার তোমাদের ? তোমরা মনে হয় একটু বেশিই কান্নাকাটি করে ফেলছ ?”
কেঁচো খুড়তে যেয়ে বেরিয়ে এলো সাপ ।
… ছেলেটা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল । পর্নমুভি দেখতে দেখতে তার এমন অবস্থা হয়েছিল যে তার আর ইন্টারনেটের ফ্রি পর্ন দিয়ে পোষাত না । তার দরকার ছিল হার্ডকোর পর্ন । তাই সে তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পর্নমুভি কিনে নিত । নতুন কোন হার্ডকোর পর্ন মুভি রিলিজ হলেই সেটা তার ইমেইল একাউন্টে চলে আসত । তার বন্ধুরাও ছিল পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত । তার বন্ধুরা তাকে বলেছিল যে, আমরা সবাই টাকা দেওয়ার চেয়ে তোর মেইলে যা আসে তা আমাদের সেন্ড করে দিস। সেইটাই ভাল হবে। ছেলেটা তাতে রাজি হয়। তার মেইলে যা আসত সে সাথে সাথেই তার বন্ধুদের পাঠিয়ে দিত। একটা পর্যায়ে সে নতুন নতুন মেইল পাঠাতে পাঠাতে বিরক্ত হয়ে “অটো ফরোয়ার্ড” সিস্টেম চালু করেছিল। এর ফলে নতুন মেইল আসা মাত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার বন্ধুদের মেইল একাউন্টে সেগুলো চলে যেত।
তারা বেশি বেশি কাঁদছিল কারণ তাদের মেইল একাউন্টে তখনো সয়ংক্রিয়ভাবে নতুন নতুন পর্ন এসেই যাচ্ছিল অথচ তাদের প্রিয় বন্ধুটিই ছিল অন্ধকার কবরে।
আল্লাহু আকবার!
ছেলেটার বন্ধুরা এটি বন্ধ করতে চাচ্ছিল কিন্তু তাদের হাতে কোন উপায় ছিলনা । ছেলেটার সাবস্ক্রিপশন শেষ হওয়ার পর তাদের একাউন্টে নতুন নতুন পর্ন আসা বন্ধ হল । তার সব বন্ধুরা তওবা করে একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহ্র (সুবঃ) দিকে প্রত্যাবর্তন করল ।
এটা নিছক বানানো কোন ঘটনা নয় । পুরোপুরি সত্য ঘটনা । এক শায়খ এই ঘটনার কথা বর্ণনা করেন । ইউটিউবে এই লিঙ্কে যেয়ে নিজে একবার শায়খের মুখ থেকে শুনুন
দুই.
কয়েক বছর আগে আমাদের দেশে একটা মাল্টিলেভেল বিজনেস কোম্পানি “ডেস্টিনি” বেশ দৌরাত্ম বিস্তার করেছিল । এরা যদিও চোর বাটপার ছিল তবে এদের মাল্টিলেভেল বিজনেসের কন্সেপ্টটা অসাধারণ ছিল । আপনি তাদের কোম্পানিতে যতজন লোক ঢুকাবেন আপনি তাদের প্রত্যেকের ইনকাম থেকে কিছু কমিশন পাবেন । আপনার মাধ্যমে যদি খুব বেশি লোক তাদের কোম্পানিতে জয়েন করে তাহলে একসময় এমন অবস্থা হবে , আপনি কিছু না করেই মাসে আরামসে লাখ দুয়েক টাকা কামিয়ে ফেলবেন । বসে বসে পায়ের উপর পা তুলে শুধু খাবেন আর নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন।
সুবহানাল্লাহ , আল্লাহ্র (সুবঃ) বান্দার সাথে জান্নাত কেনাবেচার ব্যবসাতেও বান্দার
পাপ পুণ্যের হিসাব অনেকটা এভাবেই করা হয় । মনে করেন – আপনার মাধ্যমে আল্লাহ্ (সুবঃ) যদি কাউকে হেদায়াত দান করলেন । এরপর সেই ব্যক্তি যে যে নেক আমল করবেন সেখান থেকে আপনার সওয়াবের একাউন্টে বেশ কিছু সওয়াব যোগ হয়ে যাবে (আমলকারী ব্যক্তিও তাঁর আমলের পূর্ণ সওয়াব পাবেন । তাঁর ভাগের সওয়াব বিন্দুমাত্র কমবে না )।
আবার আপনার কারণে কোন ব্যক্তি যদি পাপ কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ্র অবাধ্যতা করে তাহলে সেই পাপ কাজের জন্য সে ব্যক্তিতো শাস্তি পাবেই সেই সাথে আপনাকেও তার সঙ্গে শাস্তি ভাগাভাগি করে নিতে হবে । হাদীসে এরকম বর্ণনায় এসেছে ।
……… যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ভাল পথে আহবান করে, তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পুরস্কারের সমপরিমাণ পুরস্কার সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পুরস্কারের কোনো ঘাটতি হবে না। আর যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্তির দিকে আহবান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপের কোনো ঘাটতি হবে না। (মুসলিম)।
আল্লাহ্ (সুবঃ) কুরআনে স্পষ্ট ভাষায় আমাদের নিষেধ করে দিয়েছেন আমরা যেন পাপ কাজে একে অন্যকে সাহায্য না করি । ইরশাদ হচ্ছে
‘……সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।’ (সূরা মায়েদাহ : আয়াত ৫)
ভাই আমার, আপনার নিজের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে একটু চিন্তা করে দেখেন কীভাবে পদে পদে আল্লাহ্র (সুবঃ) এই আদেশ অমান্য করে চলছেন। জেনে অথবা না জেনে ফ্রেন্ড সার্কেলদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বন্ধুদের হার্ডডিস্ক পর্ন মুভি দিয়ে বোঝায় করে দিচ্ছেন,তাদের সঙ্গে পর্নমুভির লিঙ্ক শেয়ার করছেন,আইটেম গার্লদের নিয়ে,ক্লাসের মেয়েদের নিয়ে রসালো আলোচনা করে তাদের মন বিষাক্ত করে দিচ্ছেন।
ভাই আমার , বুকে হাত রেখে আজ একটা প্রশ্ন করুন তো নিজেকে । আপনি যে বন্ধুদের মাঝে এইভাবে অশ্লীল জিনিসপত্র ছড়িয়ে দিচ্ছেন এতে আপনার কি লাভ হচ্ছে ? সিরিয়াসলি কি লাভ হচ্ছে আপনার ?
আপনি নিজে যখন ঐসব নিষিদ্ধ জিনিস পত্র দেখছেন তখন নিজে খুব বড় ধরণের পাপ করছেন কিন্তু “আদিম” মজাটাও তো পাচ্ছেন । কিন্তু আপনার সাপ্লাই করা পর্ন মুভি দেখে আপনার বন্ধু বান্ধবরা যখন তাদের লালসা মেটাচ্ছে তখন আপনার কি লাভ হচ্ছে ? কোন লাভই হচ্ছে না । কিন্তু আপনাকে কাঁধে নিতে হচ্ছে আপনার বন্ধুর করা পাপের ভারও । আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে যতজনের কাছে আপনার দেওয়া পর্ন মুভি বা আইটেম সং ছড়িয়ে পড়বে এবং যতজন যতবার তা দেখে ‘মজা’ নিবে আপনার একাঊন্টে তাদের করা পাপের ভাগ যোগ হতেই থাকবে । আপনি মজা টজা কিছুই পেলেননা , কিন্তু শেষ বিচারের দিন দেখা যাবে পাহাড় পরিমাণ পাপের মালিক হয়ে বসে আছেন । কেমন লাগবে তখন ? এটা কি শুধু শুধু পাগলামি করা নয় , নিজের পায়ে নিজেই কুড়োল মারা নয় ?
ভাই আমার , একবার চিন্তা করুন তো পৃথিবীতে শত শত জিবি পর্ন রেখে ধুম করে একদিন মারা গেলেন। তখন কী হবে আপনার ? কবরে গিয়েও পাপ কামাতে থাকবেন ।
এরকম পাগলামি করার কোন মানে আছে ? জীবন তো একটাই , তাই না ? একে নিয়ে জুয়া খেলার কোন মানে হয়? আপনি নিজে পর্ন মুভি দেখা ছাড়তে পারছেন না , চোখের হেফাজত করতে পারছেন না ভালো কথা । নিজে নিজে দেখুন , মজা নিন আর পাপ কামাতে থাকুন নিজ দায়িত্বে । কিন্তু ভুলেও এমন কোন কাজ করবেন না , যাতে আপনার বন্ধু বান্ধব , আপনার চারপাশের সমাজের মানুষ গুলোর মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে । খুব সাবধান ভাই , খুব সাবধান । ফেসবুকের কোন একটা পোস্টে আপনার করা একটা ক্লিক বা কমেন্ট অথবা আপনার কোন শেয়ার দেওয়া লিংকের মাধ্যমে হয়তো আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা মানুষগুলোর মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে অশ্লীলতা । এই ব্যাপারগুলোতেও সাবধান হওয়া দরকার ।
অনেক বোনই ফেসবুকে নিজেদের ছবি দেন । আপনারা হয়তো তেমন কিছু না ভেবেই এসব ছবি আপলোড দেন অথচ আপনাদের এইসব ছবি এক একটা ছোট অঙ্গার , যেটা এক সময় আস্তে বড় হয়ে একসময় পুড়িয়ে দিতে পারে কোন বিশাল বন।
তো যা বলছিলাম , পর্ন মুভির ডিলার হিসেবে সুনাম কুড়িয়ে থাকলে আপনার উচিত এখনি , ঠিক এই মুহূর্তে , এই আর্টিকেল পড়া শেষ না করেই ওজু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া । দু রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহ্র (সুবঃ) কাছে তওবা করুন । আপনার পাপ যদি আকাশ সমান উঁচু হয়ে যায় তাহলেও আল্লাহ্’র (সুবঃ) কাছে একনিষ্ঠ ভাবে তওবা করলে এবং ভবিষ্যতে সেই কাজ আর না করলে ইনশা আল্লাহ্ আল্লাহ (সুবঃ) আপনার পাপ ক্ষমা করে দিবেন ।
“তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।” ( ৫ঃ৭৪)
“কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (২৫ঃ৭০)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ বলেছেন, “হে আদম সন্তান! যতক্ষন পর্যন্ত তুমি আমাকে ডাকতে থাক এবং আমার আশা পোষণ করতে থাক সে পর্যন্ত আমি তোমাকে মার্জনা করতে থাকি, তোমার যত পাপই হোক না কেন। আর আমি কোন ভয় করি না। হে আদম সন্তান! যদি তোমার পাপরাশি আসমান পর্যন্তও পৌছে, তারপর তুমি আমার কাছে মাফ চাও, আমি তোমাকে মাফ করে দিই এবং আমি কাউকে গ্রাহ্য করি না।”
শেষ করব কুর’আনের দুটি আয়াত দিয়ে …
“…মুমিন নর ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, তারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকাজের নিষেধ করে।” (সূরা আত-তাওবা: ৭১ )
“…মুনাফিক নর ও মুনাফিক নারী একে অপরের অনুরূপ,তারা অসৎ কর্মের নির্দেশ দেয় এবং সৎকর্ম নিষেধ করে।” – ( সূরা আত-তাওবা: ৬৭)
আপনি কোন দলে থাকবেন ?
– মুমীনদের দলে (যাদের বাসস্থান জান্নাত) না মুনাফিকের দলে (যাদের বাসস্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর) ?
জীবন আপনার সিদ্ধান্তও আপনার ।